ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২
96tvbd

গাংনীতে বিসিআইসির সার ডিলার এনামুলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন


৯৬ টিভি | মাহাবুল ইসলাম  সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম গাংনীতে বিসিআইসির সার ডিলার এনামুলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার ইনামুল হকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নুর ইসলাম, শফিউর রহমান ট্রমা, শহিদুল ইসলাম, লিটিল হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য ফারুক হোসেন ও কৃষক রাজন হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধানখোলা ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই সার ডিলারই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। ফলে কৃষকরা ন্যায্য হারে সার না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় স্থায়ী বাসিন্দাদের ডিলারশীপ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ধানখোলা ইউনিয়নে এ নিয়ম মানা হয়নি। বর্তমানে ইউনিয়নে বিসিআইসির দুটি ডিলারশীপ দেওয়া হয়েছে- মেসার্স এন আর এন্টারপ্রাইজ যার মালিক এনামুল হক, যিনি গাংনীর বাসিন্দা এবং গাংনী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেসার্স কাদের স্টোর যার মালিক হারুন অর রশিদ, তিনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও গাংনী বাজারে অবস্থিত।
বক্তারা বলেন, এরা কেউই ধানখোলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা নন। কৃষকদের সাথে তাদের কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই এবং তাদের সার সরবরাহ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। কৃষকরা সঠিক সময়ে সার পাচ্ছেন না, অনেক সময় অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ নিয়েছেন। মেসার্স কাদের স্টোরের স্বত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের আপন ভাই এবং এন আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এনামুলের পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে ডিলারশীপ রয়েছে।
তারা স্থানীয় কৃষকদের মাঝে সরকারি মূল্যে সার বিক্রি না করে খুচরা বাজারে অধিক দামে বিক্রি করেন। কৃষকরা তাদের কাছে গেলে সার না দিয়ে অসাদাচারণ করে হয়রানি করে।
আওয়ামী লীগের সার ডিলারের ডিলারশীপ বাতিলের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে এলাকার কয়েক শ কৃষক অংশগ্রহণ করেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, সার নিয়ে এ ধরনের অনিয়ম চলতে থাকলে ধানখোলা ইউনিয়নের কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Side banner