ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
96tvbd

পুলহাট-খানপুর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু


৯৬ টিভি | স্টাফ রিপোর্টার নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম পুলহাট-খানপুর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

দিনাজপুর শহরের পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের পাশে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ। রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে পুলহাটের শুরু পুলিশ ফাঁড়ির মোড় থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপসচিব (এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা) মোহাম্মদ আশফাকুল হক চেীধুরী।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, গত ৮৩ বছর আগে ১৯৪২ সালে জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
অধিগ্রহণ করা জমি উদ্ধারে এর আগেও ২০০২ সালে সড়ক বিভাগ গেজেটের আওতায় উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। কিন্তু মামলা মোকদ্দমাসহ অনেক জটিলতার কারণে ওই সময় অভিযান চালানো হয়নি। এবার পুনরায় নোটিশ, মাইকিং এবং পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলে সড়ক বিভাগ। 
রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে দিনাজপুর থেকে খানপুর পর্যন্ত (জেড-৫৮০২) মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
উচ্ছেদ কার্যক্রমে দুই হাজার মানুষের দোকান-পাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙা পড়বে এবং পাঁচ হাজার পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই জমি ১৯৪২ সালে গেজেটভুক্ত হয়। তাই এসব জমি মালিকানা দাবির কোনো সুযোগ নেই। আজ ২ ও আগামীকাল ৩ নভেম্বর উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হচ্ছে। এই উচেছদ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপ সচিব এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চেীধুরী। এস্কেভেটর ভেকুসহ কয়েক শ শ্রমিক এই উদ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন  পুলিশ , আনসার, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ জরিপ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও অগণিত ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ি উচ্ছেদে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন।
তবে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, সড়ক বিভাগ কোনো জরিপের আওতায় (সিএস, এসএ) কোন দাগে, কত পরিমাণ জমি উচ্ছেদ করবেন- তার কোনো পরিসংখ্যান আমাদের জানায়নি। ১৯৪২ সালে গেজেট হওয়ায় গত ৮৩ বছরের মধ্যে অধিগ্রহণ করা জমি সড়ক বিভাগের রেকর্ডভুক্ত ও নথিভুক্ত করার কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে ৮৩ বছর ধরে ওইসব জমি কেনা-বেচা হয়েছে। সরকারের রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলাদি সম্পন্ন এবং নাম খারিজসহ খাজনা পরিশোধ হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। এই খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে। গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আইনি বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে।
তবে একটি সুত্র জানায়, সড়ক বিভাগের জায়গায় ১২০ ফুট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা থাকলেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে ৮৫ ফুট। এর কারণ জানা যায়নি।

Side banner